নিরেন দাস,জয়পুুরহাট প্রতিনিধিঃ জয়পুরহাট জেলা শহরের কেন্দ্রীয় মসজিদ মার্কেটের একটি মোবাইলের দোকানে চুরির ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২৪ টি স্মার্টফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) দুপুর ১২ টার দিকে প্রেস ব্রিফ্রিং করে জয়পুরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম আলমগীর জাহান এসব তথ্য জানান।
এর আগে গতকাল বুধবার সকালে কেন্দ্রীয় মসজিদ মার্কেটের লাবীব টেলিকম নামের একটি মোবাইলের দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে। এতে নগদ ২ লাখ ৩২ হাজার টাকা ও ৮৪ টি স্মার্টফোন চুরি হয়েছে বলে থানায় মামলা করেছেন দোকানটির মালিক রুহুল আমিন।
আটককৃতরা হলেন, কুমিল্লার হোমনা থানার চান্দেরচর গ্রামের মৃত মনির ভূঁইয়া মো. মিজান (২২), একই জেলার মুরাদনগর উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামের মৃত জাহাঙ্গীরের ছেলে মো. শুকুর (২২), চট্টগ্রামের হালিশহর থানার কেতুয়া মসজিদ রামপুরা এলাকার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে মো. সজিব (২৮) ও কুমিল্লার মুরাদনগরের দড়িকান্দি গ্রামের আঃ সাত্তারের ছেলে মো. আদিস (২২)।
দোকান মালিক-কর্মচারী ও পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮ টায় দোকান বন্ধ করা হয়। পর দিন বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় কর্মচারীরা দোকান খুলতে গিয়ে দেখেন, দোকান ঘরের উত্তর দিকের সার্টারের দরজায় নতুন একটি তালা দেওয়া আছে। কর্মচারীরা পশ্চিম দিকের সার্টারের দরজা খুলে দোকান ঘরের ভেতরে মালামাল এলোমেলো অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখতে পায়। এ সময় তারা দেখেন দোকানে একটি স্মার্ট ফোনও নেই। ক্যাশে টাকাও নেই। পরে পুলিশকে ঘটনাটি জানানো হয়। পুলিশ এসে দোকান পরির্দশন করেন।
এদিকে বুধবার সকাল ৯ টায় জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের নিয়মিত অভিযান পরিচালনার সময় জয়পুরহাট-মেকামতলা আঞ্চলিক মহাসড়কের কালাই উপজেলায় ২৪ টি স্মার্ট ফোনসহ ৪ জন ব্যক্তিকে আটক করে। পরে আটকদের জয়পুরহাট থানায় হস্তান্তর করা হয়।
জয়পুুরহাট সদর থানার (ওসি) একেএম আলমগীর সাংবাদিকদের জানান, চোর চক্ররা নির্দিষ্ট কোনো এলাকায় বসবাস করেন না। তারা বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে বস্তি এবং ক্রাইম জোন এলাকা বেছে নিয়ে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করেন। এরপর বড় ধরনের ডাকাতি কিংবা চুরি করে পালিয়ে যান। জয়পুরহাটে তিনমাস আগে এসে চুরির পরিকল্পনা করে তারা।
ওসি আরও তিনি বলেন, চুরির ঘটনায় দোকান মালিক রুহুল আমিন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। চোর চক্রের ৪ জন আটক আছে এবং ২৪ টি ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের আটকের জন্য পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।